শ্রীমতি বিশাখা সখী(অষ্টসখীর দ্বিতীয়া)

Dvarakajivana Dasa
0
শ্রীমতি বিশাখা সখী

রাধারাণীর অষ্টসখীর মধ্যে বিশাখা দ্বিতীয়া। শ্রীরাধার মতোই তাঁর আচরণ, গুণ ইত্যাদি। শ্রীরাধারাণীর জন্মলগ্নেই বিশাখারও জন্ম। ভাদ্র মাসের শুক্লাষ্টমী সোমবার দুপুরবেলায়। বর্ষানার দক্ষিণপূর্ব দিকে কামাই নামক গ্রামটি বিশাখার জন্মস্থান। পিতার নাম পাবন। মায়ের নাম দক্ষিণা।

পতির নাম বাহিক। পাবন হচ্ছেন মুখরার বোনপো এবং দক্ষিণা হচ্ছেন জটিলার বোনঝি। অষ্টসখীর প্রত্যেকের শ্বশুরবাড়ী যাবট ভামে।

বিশাখার অঙ্গকান্তি বিদ্যুতের মতো। তাঁর বসন তারাবলীর মতো।

শ্রীশ্রীরাধামাধবের সাজসজ্জা করানোর ব্যাপারে, প্রিয়জনের মনোরঞ্জন করতে বিশাখাদেবী বিশেষ অভিজ্ঞা। বিশাখাদেবীর সূক্ষ্ম মন্ত্রণা কেউই লংঘন করতে পারেন না। যুগলের দৌত্যকর্মে সুনিপুণা। রাধামাধবের পারস্পরিক প্রেম কলহে, সাম দান ও ভেদনীতিতে বুৎপন্না।

পত্রভঙ্গাদি তিলক রচনায়, মাল্য ও আপীড় নির্মাণে, সর্বতোভদ্র মণ্ডলাদি অংকণে, পুতুল নাচে, বিচিত্র বিচিত্র সূত্রে সীবন কর্মে, সূর্যপূজার সামগ্রী রচনায়, বিভিন্ন বিচিত্র ভাষায়, ধ্রুপদ ইত্যাদি সঙ্গীতে বিশাখাদেবী অতিশয় পারঙ্গতা।

রাধারাণীর গান গাইবার লোক যে ছয়জন সখী আছেন- রসেল্লাসা, গুণতুঙ্গা, স্মরোদ্ধুরা, কলাকণ্ঠী, সুকণ্ঠী ও পিককণ্ঠী, গীত বাদ্যাদি কল্য বিষয়ে সুশিক্ষিতা, তাঁদের গানগুলি সব রচনা করেন বিশাখাদেবী।

চিত্রবিদ্যায় নিপুণা যে সব সখী রয়েছেন, বস্ত্রাধিকারে যে সব সখী বা দাসী রয়েছেন, সর্বথা আনন্দ-চমৎকার বিধানে যে সব বনদেবী রয়েছেন, পুষ্পলতা ও পুষ্পবৃক্ষের অধিকারে যে সব সখী রয়েছেন, তাদের সবারই অধ্যক্ষা বিশাখা।

বস্ত্র-অলংকার সেবাই বিশাখার নিত্য সেবা। তাঁর কুঞ্জ মেঘবর্ণের। বয়স ১৪ বৎসর আড়াই মাস।

বিশাখাদেবীর যুথে অবস্থিত অষ্টসখীর নাম হল, মালতী, মাধবী, চন্দ্রলেখা, কুঞ্জরী, হরিণী, চপলা, সুরভী, শুভাননা।

বিশাখাদেবী গৌরলীলায় রায় রামানন্দ।

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)