শ্রীমতি রঙ্গদেবী সখী
শ্রীরাধার চেয়ে রঙ্গদেবী সাতদিনের ছোট। ভাদ্রমাসের পূর্ণিমাতে সোমবারে রঙ্গদেবীর জন্ম বর্ষানার পশ্চিম দিকে বজেরা নামক গ্রামে।
এই গ্রামটি সনেরা গ্রামের পশ্চিমদিকে। রঙ্গদেবীর পিতার নাম রঙ্গসার ও মায়ের নাম করুণা। পতির নাম বক্রেক্ষণ। চম্পকলতার মতোই রঙ্গদেবীর গুণ।
তাঁর অঙ্গকান্তি পদ্মফুলের রেণুর মতো, তাঁর বসন জবাফুলের মতো লাল রঙের।
রঙ্গদেবী পূর্বে তপস্যা করে শ্রীকৃষ্ণকে আকর্ষণ করার মন্ত্র লাভকরেছিলেন।
রঙ্গদেবী সর্বদা উত্তুঙ্গা বা গৌরবোন্মত্ত ভাবযুক্তা।
তিনি ইঙ্গিতেই নানা ছলনা করেন। এমনকি কৃষ্ণের কাছেও রাধাকে পরিহাস-কৌতুক করে ঔৎসুক্য (আগ্রহ) প্রকাশ করে থাকেন। তিনি রাধা-মাধবের উভয়পক্ষের জন্য কালপ্রতীক্ষা করে থাকেন। বাদ্যযন্ত্রে বিশেষত স্বরযোগ করতে তিনি দক্ষা।
সমস্ত সখী যাঁরা বিচিত্র অঙ্গরাগ কর্মে নিযুক্তা, গন্ধদ্রব্য নিয়োগে নিযুক্তা, ধূপদান এবং শিশিরকালে আগুন জ্বালানো ও গরমকালে চামর ব্যজনে নিযুক্তা, ব্রজের সিংহ মৃগাদি পশু পরিদর্শন কার্যে যাঁরা নিযুক্তা, তাঁদের সকলের অধ্যক্ষা হলেন রঙ্গদেবী।
রঙ্গদেবীর কুঞ্জ শ্যামবর্ণ। আলতা পরানো সেবাই তাঁর নিত্য সেবা। বয়স ১৪ বৎসর আড়াই মাস।
রঙ্গদেবীর যুথে অবস্থিত অষ্টসখীরা হলেন- কলকণ্ঠী, শশিকলা, কমলা, মধুরা, ইন্দিরা, কন্দর্পসুন্দরী, কামলতিকা ও প্রেমমঞ্জরী।
রঙ্গদেবী গৌরলীলায় শ্রীল গদাধর ভট্ট।