শ্রীমতি ইন্দুলেখা সখী
শ্রীরাধার চেয়ে তিনদিনের ছোট ইন্দুলেখাদেবী। ভাদ্রমাসের শুক্লা একাদশী বৃহস্পতিবারে বর্ষানার উত্তর-পূর্বদিকে আঁজনক গ্রামে ইন্দুলেখা সখী জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম সাগর, মায়ের নাম বেলা। পতির নাম দুর্বল। ইন্দুলেখার অঙ্গকান্তি হরিতাল (উজ্জ্বল হলুদ) বর্ণের। তাঁর বসন ডালিম ফুলের মতো লাল।
সর্পশাস্ত্রমন্ত্রে ইন্দুলেখা বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত। সামুদ্রিক শাস্ত্রে সম্পূর্ণ তত্ত্বজ্ঞা। অর্থাৎ কারও হাতের রেখা, দেহস্থ অন্যান্য চিহ্ন দেখে তিনি তাঁর জীবনের শুভাশুভ নির্ণয় করতে তিনি পটু। বিজ্ঞান শাস্ত্রে অভিজ্ঞা। ইন্দুলেখা মহা জ্যোতিষী, সৌভাগ্য মন্ত্রের লিখন কৌশলে কৃতকর্মা। কোন্টি কি ধাতু, রত্নসমূহের পরীক্ষায় ওস্তাদ। দন্তরঞ্জন কার্যে অভিজ্ঞা। দন্তচিকিৎসক।
ইন্দুলেখা সখী সুন্দর সুন্দর মনোহর হার রচনা করতে পারেন।
শ্রীশ্রীরাধামাধবের পরস্পরের প্রীতি উৎপাদন করে উৎকৃষ্ট সৌভাগ্য বিস্তার করতে তিনি দারুন দক্ষা।
ব্রজধামে যে সমস্ত সখীরা দাস্যকার্যে নিযুক্তা, অলংকার নির্মাণে নিযুক্তা, পোষাক তৈরি কর্মে নিযুক্তা, কোষরক্ষা বিষয়ে যুক্তা, স্থলভাগের অধিকার কর্মে নিযুক্তা, তাঁদের সকলের অধ্যক্ষা হচ্ছেন ইন্দুলেখা দেবী।
তুঙ্গভদ্রা প্রভৃতি বিপরীত পক্ষের সঙ্গে দূত্যকার্যের উদ্ধার বিষয়ে নিযুক্ত দূতীদের গোপনীয় কথাবলার জন্য ইন্দুলেখা একজন যোগ্য পাত্র।
ইন্দুলেখার কুঞ্জ শুভ্রবর্ণ। নৃত্য তাঁর নিত্য সেবা। ইন্দুলেখার বয়স ১৪ বৎসর আড়াই মাস।
ইন্দুলেখা সখীর যথে অবস্থিত অষ্টসখী হলেন- তুঙ্গভদ্রা, রসোতুঙ্গা, রঙ্গবাটী, সুমঙ্গলা, চিত্ররেখা, বিচিত্রাঙ্গী, মোদনী ও মদনালসা।
ইন্দুলেখাদেবী গৌরলীলায় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী।